নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়া অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে বুধবার ১৩’ই আগস্ট রাতে #ফাহমিদা_তাহসিন_কেয়া(২৫) নামে একজন তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
গতকাল ১৬ ই আগস্ট রোজ (শুক্রবার) আনুমানিক সন্ধ্যা ০৭:৩০ ঘটিকায় ভুক্তভোগীর পরিবার মিরপুর থানা পুলিশের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে মৃতদেহ নিয়ে থানার (মূল ফটক) এর সামনে অবস্থান করে প্রতিবাদ জানান।
নিহত ফাহমিদা তাহসিন কেয়ার পিতা- (জনাব রফিক) গণমাধ্যমকে জানান- তার কন্যা ফাহমিদা কিছুদিন আগেই তিনি এ সংসার করতে পারছেন না তার পক্ষে আর সবকিছু মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এমনটি বাবাকে জানান, কিন্তু পারিবারিকভাবে (ফাহমিদা) তিনি ০৪ সন্তানের জননী হওয়ায় পরিবার থেকে তাকে সবকিছু মানিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু সবকিছু মানিয়ে নিতে যেয়ে আজ তিনি তার সন্তানের লাশ উপহার পান,
তিনি আরো জানান তার সন্তান ফাহমিদা যদি আত্মহত্যা করার চিন্তায় থাকতো তাহলে, ‘বাসায় এসে রান্না করার জন্য মুরগির মাংস বের করে রান্না করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যেন তার বাচ্চারা রাতে একসাথে খাবার খেতে পারে যদি আত্মহত্যা ই করার ইচ্ছা থাকতো তাহলে এমনটা তিনি করতেন না’ বলে জানান,
তাছাড়া সে যদি আত্মহত্যা করে তাহলে তার স্বামী সিফাত আলী(৩১) কেন ই বা পলাতক আছেন এই পর্যন্ত.!
“সিফাত আমাকে ফোন করে বলেন ফাহমিদা অসুস্থ হয়ে পড়েছে পরবর্তীতে আবারো জানান সে আর বেঁচে নেই, প্রথমে ফাহমিদা কে নিয়ে (বিআরবি হসপিটাল) পান্থপথ যাওয়ার কথা জানালেও হসপিটাল এর কাছাকাছি পৌঁছালে ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে নিয়ে গেছে বলে জানান। সে বারবারই আমাদেরকে মিসগাইড করছিল।
ঘটনার ৭২ ঘণ্টা হয়ে যাওয়ার পরও আমি আমার ০৪ নাতি-নাতনির একজনকে ও খুঁজে পাই নাই এবং প্রশাসনিকভাবে কোন সহযোগিতা ও পাচ্ছি না।”
এছাড়াও মিরপুর মডেল থানা এসআই রোকন ও ওসি তদন্ত (রাজিব) এর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরে লাশ না পেয়েও তারা সুরতহাল রিপোর্টে মৃতদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন যার তীব্র প্রতিবাদ জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ ঘটনাটি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা বললেও, ভুক্তভোগীর পরিবার তথ্যটি অস্বীকার করে জানান মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আসামীর বাসায় যেয়ে বসে থাকেন, ৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও কোন আসামি এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয় নাই, থানা পুলিশ থেকে তারা কোন সহযোগিতা পান নাই।
প্রশ্নে: তারা আরো জানান- আসামীর সাথে ওসি তদন্তের “অবশ্যই আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলেই তার সত্যতা পাওয়া যাবে।”
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট “মৃত্যুর বদলে মৃত্যু” শাস্তির চেয়ে এবং সঠিক তদন্ত-পূর্বক জড়িতদের আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছেন।
Leave a Reply